জেনে নিন প্রতিদিন আপেল খাওয়ার উপকারিতা এবং প্রতিদিন একটি আপেল খেলে কি হয়
‘জেনে নিন প্রতিদিন আপেল খাওয়ার উপকারিতা এবং প্রতিদিন একটি আপেল খেলে কি হয়’
প্রতিদিন আপেল খাওয়ার উপকারিতা এবং প্রতিদিন একটি আপেল খেলে |
প্রতিদিন একটি আপেল খেলে যেতে হয় না ডাক্তারের কাছে। প্রচলিত এই কথার গুরুত্ব আসলে কতটুকু তা আপনাকে বুঝতে হলে প্রতিদিন আপেল খাওয়ার উপকারতা গুলো এবং প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে কি হয় সে সম্পর্কে জানতে হবে।
এরমানে এই নয়, যে শুধু আপেল খেয়েই থাকতে হবে। প্রতিদিন আপেল খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে ঠিক তেমন আপেলের মতো প্রতিদিন একটি কলা খাওয়াও শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
সুস্থভাবে জীবন পরিচালনার জন্য নিজেকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারে অভ্যস্ত করা বিশেষ প্রয়োজন।
ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না - এটা কথার কথা হলেও আপেলে অনেক কার্যকরী উপাদান রয়েছে যা আসলেই শরীরের জন্য খুবইভালো।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি সাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানানো হলো প্রতিদিন আপেল খাওয়ার উপকারিতা এবং প্রতিদিন একটি আপেল খেলে কি হয়। তাহলে আসুন জেনে নেই আপেল খাওয়ার উপরকারি দিক গুলোঃ
ওজন নিয়ন্ত্রণ: সকালের নাস্তা হিসেবে প্রতিদিন একটি আপেল খেলে সেটা আপনার ওজন কমাতে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে। এতেই বোঝা প্রতিদিন আপেল খাওয়ার উপকারিতা তেমনি ।
প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার মাঝে রয়েছে পানি এবং ভোজ্য আঁশ, যা লম্বা সময় পর্যন্ত আমাদের পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।
দিনের যেকোনো বেলা খাবার খাওয়ার আগে কয়েক টুকরা আপেল খেয়ে নিলে আপনার পেট ভরবে অল্পতেই, ফলে আপনি প্রায় ২০০ ক্যালরি পর্যন্ত কম গ্রহণ করবেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: প্রতিদিন একটি আপেল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। আর বর্তমান মহামারীর সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় আমাদের প্রত্যেকের পরম বন্ধু। প্রতিদিন আপেল খাওয়ার উপকারিতা অনেক ।
এখানেও কাজ করে ‘কোয়েরসেটিন’, যা প্রদাহ কমাতেও সহায়ক হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, আপেল খোসা সহ আপেল খেতে হবে।
স্নায়ুবিক স্বাস্থ্যের উন্নতি: ‘গবেষকরা তাদের গবেষণাই নিউরোপ্রোটেক্টিভ’ প্রভাব পেয়েছেন আপেলে থাকা পুষ্টি উপাদান ‘কোয়েরসেটিন’য়ের মাঝে ।
আপনি আপেল নিয়মিত খাওয়ার ফলে, আপনার মস্তিষ্কের নিউরন-পেশি গুলো আর ও বেশি সময় ধরে কর্মক্ষম থাকবে।
হৃদরোগের ঝুঁকি: হৃদরোগ এর ঝুঁকি কমানোর ব্যাপারে আপেলের উপকারিতা তেমন নেয় বললেই চলে। তবে প্রতিদিন আপেল খাওয়ার উপকারিতা কিন্তু মোটেই অবহেলার পাত্র নয়।
এর পাশাপাশি আপেলে থাকা ‘ফ্লাভানয়েড’ ‘স্ট্রোক’য়ের ঝুঁকি কমায় ২০ শতাংশ। শরীরের কোলেস্টেরল কমাতেও আপেলের ভূমিকা আছে।
অন্ত্রের সুস্বাস্থ্যে: আমরা অন্ত্রের স্বাস্থ্য খুবই কমই ছিন্তা করি। কিন্তু প্রতিদিন আমাদের মন মানসিকতা কেমন থাকবে তা কিন্তু অনেকাংশে নির্ভর করে আমাদের অন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের উপরেই।
এই যেমন ধরেন পেট ব্যথা হওয়া, পেট ফোলে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদির ব্যাখ্যা হয়ত অন্ত্রের সমস্যাই। অন্ত্রের অবস্থা ভালো রাখতে সুন্দর ও কার্যকর একটি ‘প্রোবায়োটিক’ উপাদান হলো ‘পেকটিন’ যা মেলে প্রতিদিন আপেল খেলে।
প্রতিদিন আপেল খাওয়ার উপকারিতা কতটুকু তা জানলে হয়তো সবাই আপেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলত।
আরও পড়ুন- জেনে নিন চোখের ব্যথা দূর করার উপায় গুলো !
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: আপনি ক্যান্সার থেকে দূরে থাকতে পারবেন প্রতিদিন একটি আপেল খেলে । প্রতিদিন আপেল খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। আপেল হতে পারে আপনার ক্যান্সার থেকে দূরে থাকার মূল চাবি কাঠি।
বিশেষ করে যারা ধূমপান করেন কিংবা আগে করতেন তাদের জন্য ডাক্তাররা পরামর্শ দেয় প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার ।
ফুসফুস ক্যান্সার বিষয়ক একাধিক গবেষণা এমনটাই দাবি করে। এতে থাকে ‘ফাইটোকেমিকেল’ ও আঁশ। যেটা থেকে ‘অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট’য়ের সুবিধা পাওয়া যাই, যা আমাদের কোষকে বিভিন্ন ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: ডায়াবেটিসের কবল থেকে রক্ষা করতে পারেন প্রতি সপ্তাহে কয়েকটি আপেল খেলে ।
আবার প্রতিদিন একটা আপেল খেলে আরও ভালো হয়। দাবি বিশেষজ্ঞদের, কারন এতে করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যাই ২৮ শতাংশ।
অ্যালার্জি থেকে সুরক্ষা: প্রতিদিন দিন একটি আপেল খাওয়ার অভ্যাস করার আগে জেনে নিতে হবে এই ফল বা ফলটি থাকা কোন উপাদানে আপনার অ্যালার্জি বা অ্যালার্জি জনিত কুন প্রকার সমস্যা আছে কি না। যদিও এমন খুব কম হয়, তবে সাবধানতার মার নেই ।
প্রতিদিন আপেল খাওয়ার পর ত্বকের কোথাও ফুলে উঠলে, চুলকানি হলে, জিভ চুলকানো ইত্যাদি যদি দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার অ্যালার্জি আছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
হাঁপানির তীব্রতা কমাতে: হাঁপানির সমস্যা কমার বিষয়টা নির্ভর করে, নিয়মিত আপনি কী পরিমাণ আপেল খাচ্ছেন সেটার ওপর।
‘অ্যাডভান্সেস ইন নিউট্রিশন’ জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, প্রায় ৬৮ হাজার নারীকে নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায়, যারা প্রতিদিন একটি আস্ত আপেল খেয়েছে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তাদের হাঁপানির তীব্রতা কমেছে অনেক বেশি।
আর যারা দিনে একটি আস্ত আপেলের প্রাই ১৫ শতাংশ খেয়েছে তাদের দেখা গেছে প্রায় ১০ ভাগ রোগের তীব্রতা কমে গিয়েছে।
দাঁত সাদা করে: আপেল দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করতেও বেশ কার্যকরি। আপেল চিবাইয়ে খাওয়ার সময় দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবারকনা এবং
দাঁতের ওপরের থাকা হলদেটে দাগ পরিষ্কার করে। এর কারন আপেলে রয়েছে অম্লীয় গুণ।
সুতরাং প্রতিদিন আপেল খাওয়ার উপকারিতা এবং প্রতিদিন একটি আপেল খেলে কি কি উপকার হই টা নিচয়ই আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পেরেছি। আর জানতে…..